Editorial Board:-
- Chief Functionary: Mrs. Nurani Islam
- Editor: Mr. Biswajit Paul
- Advisor: Mr. Manas Kumar Thakur
- Member- Public Relation: Mr. Parthpratim Ghosh
Editorial Committee:
- Mrs. Ashiya Sheikh
- Mrs. Mehnaaz Parveen
- Mr. Kalyan Ranjan Debnath
Messages from Chief Functionary.....
নমস্কার,
ঊষা ই–ম্যাগাজিন আবার প্রকাশ পাওয়ার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমাদের মেন্টর মিঃ মানষ কুমার ঠাকুর মহাশয়কে, আমাদের ই-ম্যাগাজিনের চীফ এডিটর মিঃ বিশ্বজিৎ পাল মহাশয়কে এবং ঊষা ই–ম্যাগাজিন এর সকল পাঠক ও পাঠিকা এবং এডিটোরিয়ালের প্রত্যেক সদস্য বৃন্দকে।ধন্যবাদ সকল পাঠক বৃন্দকে, আপনাদের এই ই-ম্যাগাজিনকে এতটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।আজ আমরা আপনাদের সপ্তম ই-ম্যাগাজিন প্রকাশ করলাম।
আমাদের এবারের ই-ম্যাগাজিনের বিষয় হল পরিবেশ দূষণ ।পরিবেশ গঠিত হয় দুটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রাকৃতিক ও সামাজিক।একই ভাবে পরিবেশ দূষিতও হয় এই দুই ভাবেই। আমি আমার সকল পাঠকদেরকে অনুরোধ করছি তারা যেন পরিবেশ সমন্ধে সচেতনহন এবং আহ্বান জানাচ্ছি যে তারা যেন দূষণমুক্ত পৃথিবীকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় এগিয়ে আসে। তার সাথে সাথে আমাদের এই ই-ম্যাগাজিন ও যেন সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে তার কামনাও করি।
ধন্যবাদ,
নুরানি ইসলাম,
চিফ ফাংশানারী এ্যান্ড ফাউন্ডার, আটঘরা জ্যোতি মহিলা উদ্যোগ
From the Desk of the Editor.....
আবহাওয়ার পরিবর্তন
Biswajit Paul
Retired from M/s Heatly and Gresham India Ltd as General Manager Sales (Mechanical )
সময়ের প্রেক্ষাপটে আবহাওয়ার পরিবর্তন নিত্য ঘটনা
পৃথিবীর জন্মকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বারে বারে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। সেই পরিবর্তনেরর ফলে অনেক বিপর্যয় ঘটে গেছে, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের অনেক অংশ একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এসব সত্ত্বেও প্রকৃতির বৈচিত্র্য বিনষ্ট হয়নি। উদ্ভিদ ও প্রাণী তাদের নব নব রূপ নিয়ে পুনরায় আবির্ভূত হয়েছে। জৈব বিবর্তনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মানবের সৃষ্টি হয়েছে।
ভূতাত্ত্বিক সময় পঞ্জি
বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তন
পরিবর্তন কি ধরণের
সাম্প্রতিক কালের আবহাওয়ার পরিবর্তন একটু অন্য ধরণের। আবহমণ্ডলের যে যে উপাদানগুলি ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের পরিবর্তনের অনুপাতের তারতম্য ঘটে যাচ্ছে। যেমন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য সহযোগী গ্যাস সমূহ (যা গ্রীণহাউস গ্যাস হিসাবে পরিচিত) সন্ধ্যার পর রাত্রিকালে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পৃথিবীকে শীতলতর হতে দেয় না। কিন্তু এদের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বৃদ্ধি পেলে দিনের সময় ভূ-মণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়বে। অনুরূপ ঘটনাই ইদানীং কালে ঘটছে।
রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা
এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ আই.পি.সি.সি নামে একটা বিভাগ খুলেছে। যাদের কাজ হল পৃথিবী ব্যাপী আবহাওয়া পরিবর্তনের তথ্য সংগ্রহ করা, ভৌতজগতের রূপান্তর গুলি চিহ্নিত করা, পরিবর্তনের ফলে জীবজগতে কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, আগামী দিনগুলিতে তাপমাত্রা কতটা বৃদ্ধি পেতে পারে ইত্যাদি বিষয়গুলি দেখা। যেমন কোন একটি এলাকায় শীতের সময়কাল যদি হ্রাস পায়, তাহলে সময়ের ফসল উদ্ভিদের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে। কোন কোন বছর শীত ছোট হওয়ায় আলুর উৎপাদন কমে গিয়েছিল। যে কোন উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগম একটি তাপমাত্রা নির্ভর জৈব প্রক্রিয়া। ফসল উদ্ভিদের ক্ষেত্রে এর প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হতে পারে।শীতের সময় যে সব প্রাণীর প্রজনন হয়, তাদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ছে, তার ফলে সন্তান উৎপাদনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন যে প্রতিক্রিয়া ঘটেছে তার সমীক্ষা খুব সামান্যই হয়েছে। আগামী দিনে আরও বিস্তারিত ভাবে তথ্যসমূহ আমাদের সামনে হাজির হবে।
গ্রীণহাউস গ্যাসগুলি কিভাবে নির্গত হয় ?
কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য সহযোগী গ্যাসগুলি মূলত দুভাবে নির্গত হয়। একটি হল প্রকৃতি জগৎ তথা উদ্ভিদমণ্ডল থেকে, অন্যটি হল আমাদের তৈরী শিল্প-কারখানা থেকে। এই নির্গত গ্যাস গুলিকে স্বাভাবিক ভাবে শোষণ করার প্রাকৃতিক উপায় আছে, কিন্তু মানব সৃষ্টি গ্যাস সমূহের পরিমাণ এতটাই বেশি যে, সবটা শোষিত হচ্ছে না, প্রত্যেক বছর খানিকটা করে অশোষিত অবস্থায় বায়ুমণ্ডলে থেকে যাচ্ছে। এই বৃদ্ধিই আবহাওয়া পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না
রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও গ্রীণহাউস গ্যাস হাসের কোন সুরাহা হয়নি। প্রত্যেকটি রাষ্ট্র নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্রীণহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমাবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি।
সাধারণ মানুষের মধ্যে আবহমণ্ডলের পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্যগুলি প্রচার করা দরকার, যাতে এই সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহায় সুস্থ জনমত গড়ে উঠতে পারে।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমরা কি কোন ভূমিকা পালন। করতে পারি ?
- ঘরে যখন সব আলো জ্বালানোর প্রয়োজন হয় না, তখন অন্য পয়েন্টগুলি বন্ধ রাখতে পারি অর্থাৎ কিছুটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
- পরিশুদ্ধ জল পাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ খরচ করতে হয়। কিন্তু এই পরিশুদ্ধ জলের ৪০ ভাগই নষ্ট হয়, রাস্তার কলগুলি খোলা থাকে। বা বাড়ির ভেতরে চৌবাচ্চার কলও খোলা থাকে। এসব যাতে না থাকে তা দেখতে হবে।
- সুতরাং প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সঞ্চয় বাড়বে অর্থাৎ CO, নির্গমন কমবে।
- আবাস-গৃহ যেমনই হোক না কেন সেখানে গাছ লাগাবার (অন্তত টবে) সামান্য সুযোগ থাকলে তা ব্যবহার করা। গাছের পাতা CO, শোষণ করে খাদ্য তৈরীর সময়।
Advisor’s Column.....
Our Journey.....
ATGHARA JYOTI MOHILA UDYOG (AJMU)
ESTD. : 1992. W.B.Govt. Regd. No. S/1L/34684.
H.O. : ATGHARA, PURBAPARA, P.O.:R-GOPALPUR, NORTH 24 PGS. KOLKATA-700136.
PHONE : 033-25196396,Mob:8017111026
E.MAIL : info@ajmu.org.in WEBSITE : www.ajmu.org.in
DEATILS OF AJMU ACTIVITIES
Atghara Jyoti Mohila Udyog (AJMU) led by women NGO under society act. It is run to ameliorate are the socio economic status of the underprivileged women and their words. However the organization started its operation since 7th March 1992 under the active leadership of Smt. Nurani Islam who after prolonged struggle against poverty and social barriers, established this organization from the burgeoning state to the position for the betterment and welfare of the downtrodden women of the community. The organization has brought about the proliferation of its activities as mentioned here under :
- SELF HELP GROUP :
With a view to eradicating poverty and promoting the socio-economic status of the underprivileged women,financial assistance through forming selp helf groups ajmu has taken a boldly step. On 15th February, 2001 it started with two SHGs known as Suryamukhi & Gandharaj. The proliferation of the activities is given below in the field of SHG justifies the massive contribution of Smt. Nurani Islam in building up this organization (as per the statistics of 26th July’ 2019)
Number of SHGs: 1324
Number of SHG Members: 16,000+
This organization is one of the selected NGOs by NABARD as NGO as SHPI-Sanction of grant assistance for promotion and linkage of 200 SHGs (Ref. No. NB (WB). mCID/5188/B-2(218 ) AJMU-1/2016-17, dated 01 March 2017.
- 2. CAPACITY BUILD UP :
Smt. Nurani Islam humble begning as a tailoring instructor gradually has not only settled her but also helped her to reap profit by bagging tailoring orders/assignments from different agencies like Khadi Village Industry Corporation (KVIC), local schools for uniform and other significant merchandise. At present 10 tailoring centers are functioning with 80 trainees. Being impressed with the activities of this organization NABARD (National Bank For Agriculture & Rural Development) came forward to sponsord the training projects twicely on tailoring trade (Basic) and skill development initiative SDI (Tailoring Advanced). The renowed organization SIDBI also sponsorded the training project on tailoring trade (Basic). The organization has been empanelled for imparting skill development training programmes to the Self Help Group Members as well as Unemployed Youth of the State to be organized by WBSCL(West Bengal Swarojgar Corporation Limited). Government of West Bengal, Office of the Block Development Officer, Rajarhat Development Block, Rajarhat, North 24 Parganas has selected also as a Master Trainer for Training of Tailoring. MSME DEVELOPMENT INSTITUTE, GOVT. OF INDIA MINISTRY OF MSME has appointed this organization to conduct two numbers of Entrepreneurship and skill development progrommes (ESDP) on cutting and tailoring (REF.No.DI/KOL/IOC/Haldia/PD/2018-19 dated 24.o7.2019). More than 5000 trainees have successfully completed their courses and are engaged in various income generating ventures. AJMU has introduced its own production house were round the clock processing arrangements for manufacturimg various garments are carried out. AJMU has opened two ware houses at Atghara,Purbapara and Raigachi Sesh more, where the products of the SHG’s are being sold. Products were also sent out side state for sale such as Gaganendra Pradarshani, Milan Mela at Netaji Indoor Stadium, Vidyasagar Mela at Salt Lake, Netaji Sanga Shyama Puja Prangan, Vastsalya Mela at New Delhi etc.It is pleasure to express that AJMU has started on line marketing through RMK,DELHI, ( http://mahilaehaat-rmk.gov.in ) sponsord by-Ministry of Women & Child Development,Govt. Of India.
- EDUCATION :
Though Smt. Islam’s level of education was not very high yet she had a great urge for education. She knew that people of Rajarhat belt are the victims of extreme poverty. Resultantly they used their children as earning machineries. Education was a nightmare to them. Under the circumstances, she tried to spread education among the underprivileged children.On.1st Sept. 2006 she founded Atghara Jyoti Public School for formal and informal education.
Presently 150 students are taking education here. The school is awarded with special certificate of honor “School That Cares” by The Telegraph news paper for consecutive four years i.e. 2008, 2009, 2010 and 2011.The school is at present in defunct state.
- HEALTH SERVICES :
Although the prime aims of the organization is to improve socio-economic status of the poor women but our effort cannot evoke better result if proper health care services are not provided to these women. Accordingly AJMU organizes various health care camps e.g., Heart Check Up Camps, Eye Check Up Camps, Thalassemia Prevention Awareness Camp, Awareness and Ovary Cancer Detection Camp etc., from where, apart from providing services of renowned doctors, free medicines are also supplied. Besides, free blood donor cards are also distributed to these women at their dire necessity. But AJMU never thinks that its journey halts here, so arrangements are in hand to introduce health care units at various villages and bring these underprivileged women in to the life insurance fold i.e., never allowing the destiny to look with glare.
—–x—–
Environmental Pollution
Mr. Parthpratim Ghosh
Vice President of M/S Orion Pest Solution Pvt. Ltd.
Ex. Deputy Director with confederation of Indian Industry
Harmful substances and contaminants affecting the environment constitute environmental pollution. All types of pollution such as air pollution, noise pollution, water pollution, light pollution, soil pollution, thermal pollution, radioactive pollution and others come under the broader category of environmental pollution. How this pollution affects us and how it is caused has been a matter of study for years. The need of the hour is to understand the effects of environmental pollution and what should be done to minimise it.
Environmental pollution is when human activities introduce contaminants in the environment, thereby leading to the disruption of the routine processes, causing irreversible changes in the environment. The agents causing pollution are called pollutants. Pollutants are substances occurring in nature or created because of extraneous human activities. Pollutants can also be forms of energies let out in the environment. Based on the pollutants and the pollution caused in the components of the environment, the environmental pollution may be broadly classified as air pollution, noise pollution, water pollution, soil pollution & radioactive pollution.
AIR POLLUTION
New Delhi, the capital of India, made global headlines recently when it turned up in the top 10 most-polluted places on earth. Supreme Court of India has imposed a ban on old petrol and diesel vehicles in Delhi. Despite numerous efforts by the government to manage polluting emissions from the industries and use alternate traffic mechanisms, the air condition continues to deteriorate. The major sources of air pollution are traffic, power plants, industry, burning waste, cooking using wood and charcoal. Emission of greenhouse gasses poses a real time threat to the concentration of toxic elements in the air.
WATER POLLUTION
In India, we are not new to water pollution. Agriculture is the prime necessity for the country and apparently environmental impact on the climate has hugely affected the monsoons. Huge amount of waste, including metals like lead, toxic chemicals coming from Industries is dumped in rivers and water-bodies. The largest source of water pollution in India is the untreated sewage water. Some villages in India still practice defecation in the open which further pollutes the nearby water bodies. Ganga and Yamuna are ranked amongst the top 10 the most polluted rivers in the world.
NOISE POLLUTION
Noise pollution is another burning issue of Modern India. Traffic congestion on roads, maddening sounds of honking horns, factory sirens, shuddering sound of the running of machines and loud sound of loudspeakers majorly contribute to the tremendous increase in noise pollution. Environmental pollution has resulted in the outbreak of so many health issues for an average Indian.
RADIOACTIVE POLLUTION
This is believed to be one of the highly dangerous types of pollution because the effects are permanent. Nuclear waste disposed carelessly, accidents in nuclear plants, etc are all examples of radioactive pollution. Radioactive pollution can cause infertility as a result of exposure, cancer (blood and skin), blindness and various birth defects. It can also permanently alter the air, soil and water – which are the major life sources. It has been found to cause serious mutation in some species that can for ages propagate.
SOIL POLLUTION
This is also called land pollution and it happens due to addition of chemicals that are not wanted to the soil caused by human activities. The use of pesticides and insecticides removes all the compounds of nitrogen from the soil thus making it highly unfit for the plants to get nutrients from. Deforestation, mining and waste release from industries also depletes the soil and this will inhibit the growth of plants and the soil will end up being eroded.
A significant part of solid waste is the industrial or commercial waste. Hazardous waste can be said to mean any solid, liquid or sludge form of waste that has properties which are dangerous or are potentially dangerous to the environment or human health. Hazardous wastes are generated in industries from pesticide manufacturing, petroleum refining, mining and a whole lot of other productions involving chemicals. Hazardous wastes are not solely generated by industries; households also generate waste that is hazardous like fluorescent lights, paints and solvents, aerosol cans, motor oil and ammunition.
MEASURES TAKEN TO CURB ENVIRONMENTAL POLLUTION
India signed the historic Paris climate agreement on 24th November 2017 along with 170 Nations at the United Nations Headquarters in New York. India has committed itself to the effective implementation of the Paris agreement on climate change. Prime Minister of India Shri. Narendra Modi and French President Emmanuel Macron inaugurated Uttar Pradesh’s biggest solar power plant in Mirzapur district on 12th March 2018. India has also signed an agreement with Germany on technical cooperation under the Indo-German Energy Program– Green Energy Corridors (IGEN-GEC). The Indian government is taking serious steps to restore the sanctity of Ganga and Yamuna rivers by implementing the ‘Clean Ganga’, ‘Namami Gange’ and ‘Yamuna Cleaning Program’.
``চলো পাল্টাই ``
আছারুদ্দীন সেখ
সহকারী শিক্ষক,
বড়চাঁদঘর উত্তর পাড়া বাগান পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,
নদিয়া।
চলো মোরা পাল্টে দিই,
দূষণযুক্ত পৃথিবী।
চলো মোরা গড়ে তুলি,
স্বপ্নসুন্দর পৃথিবী।
চলো মোরা পাল্টে দিই,
মানব মনের দূষণ ভাই।
দূষণমুক্ত জগৎ গড়তে,
এর বিকল্প কিছু নাই।
দূষণ মন জন্ম দেয়,
বিষময় নরক পরিবেশ।
ওই পরিবেশে সবার যেন,
নাভিশ্বাসের নাইকো শেষ ।
চলো মোরা পাল্টে দিই সব,
শুদ্ধমনের ভাবনাতে।
ধরার মাঝের বাঁচবো সবাই,
আনন্দ সুখ সম্প্রীতিতে।
চলো মোরা পাল্টে দিই,
বায়ু দূষণের ভাবনাকে।
নইলে পরে মরতে হবেই,
ধ্বংস ওজোন, কষ্ট বুকে।
চলো মোরা পাল্টে দিই,
যানবাহন- কারখানা কয়লার ধোঁয়া।
ধোঁয়াহীনে গড়ে উঠুক,
সুস্থসুন্দর বিশ্বকায়া।
চলো মোরা পাল্টে দিই,
জল দূষণের চেষ্টাকে।
‘জলই জীবন’ আওয়াজ তোলো,
মিশতে বাধা, পয়প্রনালী নর্দমা আর বিষ্ঠাকে।
চলো মোরা পাল্টাই ভাবনা,
মাটির শরীর ধ্বংসকে।
নইলে সেথায় তৈরি ফসল,
মারবে মোদের বংশকে।
কীটনাশক আর রাসায়নিকে,
উর্বর মাটি করছে নাশ।
স্বার্থে মানুষ করছে ধ্বংস,
আনছে ডেকে সর্বনাশ।
চলো মোরা পাল্টে ফেলি,
যানবাহন মাইক শব্দ রুচি।
অনুষ্ঠানাদি মিটিং মিছিল,
মানো শব্দ মাত্রা সূচি।
রক্তচাপ আর মাথাব্যথায়,
শিশুবুড়ো রোগে ভুগে।
ভারসাম্য শোনার ক্ষমতা,
হারায় তীব্র শব্দযোগে।
দৃশ্যদূষণ রুখতে চলো,
মনের মাঝে শপথ করি।
ভাবী প্রজন্ম রক্ষা হেতু,
সচেতনতার ধ্বজা ধরি।
স্বার্থ ও সুখ বিলাসী,
ব্যস্ত থাকে অর্থতেই।
একের লোভে মরছে অনেক-
দূষণ শোষণ খেলাতেই।
সাদা মন, সবুজ বনে-
গড়ে তোলো বিশ্বধরা।
নইলে পরে দূষণ ফাঁদে,
রইবে সবে বেঁচেও মরা।
‘আজমু ঊষা’র আলোক দ্যূতি,
ছড়িয়ে পড়ুক ঘরে ঘরে।
‘দূষণমুক্ত পৃথিবী চাই’,
চলো পাল্টাই আওয়াজ করে।
“Pollution”
Powlomi Som.
M.Sc. in Environmental Sciences
University of Pune.
India commemorates National pollution control day on 2nd of December every year, to pay homage to the victims of one of the massive industrial pollution disasters in the history of mankind: the Bhopal gas tragedy of 1984. The accidental discharge of methyl isocyanides and toxic gases has led to direct exposure of over 500,000 people. Among which thousands had died, and those who had barely escaped death, their generations to come would bear the ramifications.
Around 36 years has passed till then, nothing has changed it seems. Now our capital is choking to death. Perhaps the only difference would be in the former we can possibly blame one individual, but for the later we don’t whom shall we hold responsible!
Every year thousands of people are at death’s door in our country because of pollution, to be precise 1.67 million people have died in the year 2019 alone. Every natural resource which is available to us is probably contaminated due to anthropogenic activities. Some of the dominant kinds of pollution are water pollution, thermal pollution, soil contamination, radioactive contamination, plastic pollution and electromagnetic pollution.
It is a well known fact that with the rise of industrial revolution since the 1990s, environmental pollution bloomed. The rate of pollutants due to industrial production has only increased over the years. But since that era the field of science and technology has flourished too. Now, we certainly don’t lack in the availability of the latest technology or infrastructure. Hence, the need of the hour is implementation of environmental regulations and standards on ground. Majority of Indian population lives in areas where the annual average particulate level exceeds the WHO guidelines, according to a report on the Air Quality Life Index (AQLI) by the Energy Policy Institute at the University of Chicago. Co2 emission has increased from 1.1 metric tons per capita in 2001 to 1.8 metric tons per capita in 2016. In 2019 the pm 2.5 concentration in India was 58.1 micrograms per cubic meter of air. 70% of the fresh water sources in India are contaminated (as per NITI aayog). Arsenic, iron, fluoride and heavy metals are the major groundwater contaminants. More than 12 million people are affected by groundwater contamination in 2019 alone. According to 2016 estimates, India generated about 270 million tons of annual municipal solid waste, which was about 13 percent of the global waste. This is projected to increase to 543 million tons in 2050.
India is the second most polluted country across the globe. We certainly aren’t proud of holding this rank. Hence it is time that we raise our voice, become conscious citizens, do whatever we possibly can but take a step forward towards a better future! Any kind of pollution is preventable. The question is: are we actually doing anything to prevent it?
As Jana Stanield had well articulated these words:
“I cannot do all the good that the world needs. But the world needs all the good that I can do!”.
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
মেহনাজ পারভীন
ম্যানেজার, সোশ্যাল মিডিয়া
আটঘরা জ্যোতি মহিলা উদ্যোগ
“এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।”
–কবি সুকান্ত।
ভূমিকা:-
পরিবেশ দূষণ আধুনিক বিশ্বের এক অগ্নিগর্ভ বিষয় ও সমস্যা। আধুনিক যন্ত্র সভ্যতার বিষবাষ্পে দিশেহারা মানুষের এখন একটাই প্রার্থণা -‘বাঁচো এবং বাঁচাও’। একসময় মানুষ সবুজ পৃথিবী মায়ের কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে দিন যাপন করেছে। কিন্তু আজ সে মা অসহায়, সে মা হয়েছে দূষণের অক্টোপাসেবন্দি।পরিবেশ আমাদের উজাড় করে দিয়েছে তাজা বায়ু, বিশুদ্ধজল, উর্বর ভূমি ইত্যাদি। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই পরিবেশ ও প্রাণীজগৎ একসূত্রে গাঁথা। কিন্তু আমরা যতই উন্নতির পথে অগ্রসর হয়েছি ততই পরিবেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে খারাপ করেছি।
পরিবেশের তাজা বাতাসে মিশিয়ে দিয়েছি কলকারখানার কালো ধোঁয়া। ক্রমবর্ধমান এই পরিবেশদূষণ করার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছি। আমাদের নিজেদেরস্বার্থে, সমস্ত প্রাণীজগতের স্বার্থে পরিবেশকে দূষণমুক্ত সুস্থ রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য।
পরিবেশ:-
আকাশ, বাতাস,জল, উদ্ভিদজগত, প্রাণীজগত সবকিছু নিয়ে আমাদের পরিবেশ। এগুলির কোনোটিকে বাদ দিয়ে আমরা বাঁচতে পারিনা। মানুষতারবিদ্যা, বুদ্ধি দিয়ে এবং অনলস পরিশ্রমে তার চারপাশের পরিবেশকে আরও সুন্দর করে সাজিয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বেশি মণিমানিক্য সংগ্রহ করে মানুষ উষর মরুভূমির বুকেও ফুটিয়েছে সোনালী ফসল। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আর স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষের লোভে প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ নানানভাবে দূষিত হচ্ছে। যেমন বায়ু, জল, মাটি, শব্দ প্রভৃতি দুষণের ফলে মানুষের জীবনেও এসেছে নানারকম দুরারোগ্য ব্যাধি।
পরিবেশ দূষণ কী:
দূষণ বা ইংরেজিতে Pollution শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Pollutihellon হতে উৎপন্ন। সাধারণ অর্থে পরিবেশের ক্ষতিকর বস্তুর প্রাধান্যকে দূষণ বা Pollution বলা হয়। আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের কুলম্করপ আমাদের প্রকৃতিতে যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হচ্ছে, নান প্রকার রোগের সৃষ্টি হচ্ছে, পূর্বের সে মুক্ত বাতাস আর বিশুদ্ধ জল আমরা আর পাচ্ছিনা, এটাই দুষণ।
মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে পরিবেশ ও তার উপদানের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ও বিপর্যয়ই হলো পরিবেশ দূষণ। আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ।
আমাদের চারপাশের ভৌত অবস্থা, জলবায়ু ও বিদ্যমান সকল জীব এবং জৈব পদার্থর সমন্বয়ই হলো পরিবেশ। কোনো কারনে যদি পরিবেশের কোনো উপাদানের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় তাহলেই তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। বস্তুত মানব সৃষ্ট বিভিন্ন কারণেই পরিবেশ দূষণ হয়।
আমাদের সকলের সুন্দর পরিবেশ দূষণ হয়েছে মূলত দুইভাবে:
- প্রাকৃতিকদূষণ
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দূষণ
আগামী দিনে মানুষকে পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে, তাকে বাঁচতে হলে এই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
পরিবেশ দূষনের ইতিহাস:
আদিমকালে মানুষ পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতো বলে সেদিনের পরিবেশ তার কাছে ছিল বসবাসের উপযোগী। কিন্তু যেদিন মানুষ পাথরে পাথরে ঘষা লাগিয়ে আগুন জ্বালাতে শিখেছে সেদিন থেকে শুরু হয়েছে পরিবেশ দূষণের জয়যাত্রা।
পরিবেশের উপর এভাবে মানুষ যতই অত্যাচার করতে থাকলো, ততই দূষণযাত্রার পথ প্রশস্ত হতে থাকলো। উত্তরাধিকারসূত্রে সেই পাপের ভাগীদার আজ আধুনিক মানুষ।
জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা যতই উন্নত হচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে দূষণের অভিশাপ। বর্তমানে এই পরিবেশ ভাবনা পরিবেশ বিজ্ঞানীদের কাছে এক গভীর উদ্বেগের বিষয়।
পরিবেশ দূষণের কারণ:
অসুস্থ বিশ্ব-পরিবেশের জন্যে প্রকৃতপক্ষে মানুষই দায়ী। নির্বিচারে অরণ্য উচ্ছেদের কাজে বিবেচক মানুষের হাতে উঠেছে নিষ্ঠুর কুঠার। যা পরিবেশ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার অন্যতম কারণ। ক্রমবর্ধমান মানুষের চাহিদার কারণে ঘরবাড়ি শিল্প কারখানা আসবাবপত্র তৈরির কাজে ব্যাপক হারে বাড়ছে বৃক্ষ নিধন।
এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কলকারখানা, যানবাহনে প্রতিমুহূর্তে পুড়ছে কাঠ, তেল, কয়লা। শিল্প কারখানা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্য পদার্থ পরিবেশকে দূষিত করে। রাসায়নিক সার থেকে শুরু করে পলিথিন জল ও মাটিকে দূষিত করছে। যুদ্ধে ব্যবহৃত পারমাণবিক অস্ত্র বোমা পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
প্রাকৃতিক ভাবেও পরিবেশ দূষণ হয়, প্রাকৃতিক কারণের অন্তর্ভুক্ত হলো দাবানল, আগ্নেয়গীরি ইত্যাদি। তবে প্রকৃতি সৃষ্ট দূষণের শোধনকত্রী প্রকৃতি নিজেই অপরপক্ষে, মানবসৃষ্ট দূষণ এতো বেশি যে প্রকৃতি তা শোধনে অক্ষম এবং মানুষেরও নাগালের বাইরে।
প্রাকৃতিক উপায়ে পরিবেশ দূষণ:
প্রাকৃতিক উপায়ে পরিবেশ দূষণে অন্যতম কারণ গুলি হল জনসংখ্যা বৃদ্ধির তাগিদে জল মাটি বায়ুর উপর পড়ছে প্রচন্ড চাহিদার চাপ ফলত প্রকৃতি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।প্রতিদিন কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ গৃহস্থের বাড়ির আবর্জনা, কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থ,নদী কিংবা হ্রদের জলে মিশে প্রতিনিয়ত দূষণ বাড়িয়ে চলেছে।
কলকারখানা থেকে নির্গত হওয়া ধোয়া পরিবেশ দূষণের এক অন্যতম কারণ।খনি থেকে নির্গত কয়লা,খনিজ তেল ইত্যাদি এবং বৃক্ষ ছেদনের ফলে ভূমিক্ষয় ও ভূমি দূষণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দূষণ:
মানুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক গুলিও পরিবেশের আলোচ্য বিষয়।সমাজে আজও সুখে দুঃখে উৎসবে আনন্দে মানুষে মানুষে প্রীতির সম্পর্ক থাকলেও সেখানে আন্তরিকতার দিক গুলো ক্রমাগত লোপ পাচ্ছে। রুচিহীন আমোদ প্রমোদ, আশ্লিল সাহিত্য, অশ্লীল ছায়া ছবি আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতিবিষয়ক পরিবেশকে সম্পূর্ণ গ্রাস করেছে।
রাজনৈতিক দলীয় স্বার্থ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় আজকের তরুণ সমাজকে বিপথগামি করে তুলেছে বর্তমানে। পবিত্র শিক্ষায়তন গুলি রাজনৈতিক দলের আখরাই পর্যবসিত হয়েছে।বাস্তব সত্য হলো সাংস্কৃতিক পরিবেশের এই দূষণের কারণেই তীব্র হতাশা ও অনিশ্চয়তার শিকার হয়েছে আজকের তরুণ সমাজ।
বায়ু দুষণ ও মানবজীবনে তার প্রভাব:-
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম ও প্রধান হলো বায়ু বা বাতাস যা ছাড়া প্রাণীজগত একমুহূর্তও বাঁচতে পারেনা। বায়ুদুষণের অন্যতম কারণ হল নিউক্লীয় আবর্জনা, কয়লা পুড়িয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া, কলকারখানার দূষিতগ্যাস, যানবাহনের জ্বালানি পোড়া গন্ধ বাতাসে মিশে বাতাস দূষিত হচ্ছে। দুষণের ফলে মানুষের শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির শিকার হতে হচ্ছে।
প্রাকৃতিক সম্ভারের অন্যতম উপদান বায়ু। কার্বন কণাথেকে উৎপাদিত ভারী ধাতু, জটিল জৈব যৌগের আবর্জনা, জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ তেল, কয়লা ইত্যাদি পোড়ানোর ফলে উৎপাদিত কার্বন ডাই অক্সাইড এগুলোই হলো বায়ু দূষণের প্রধান উপকরণ। এছারা ঘর-বাড়ি, কলকারখানা, মোটর গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ু দূষণের অন্যতম বড় কারণ।
বায়ু দুষিত হলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় আর তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক দুষিত গ্যাস আমাদের দেহে প্রবেশ করবে। এই অক্সিজেনের যোগান দেয় গাছ-পালা, এজন্য প্রাণী জগৎ বেঁচেআছে। তাই অরণ্য হল মানব জগতের ফুসফুস। সে অরণ্য আজ ধ্বংসের মুখে।
মানুষ একদিন প্রয়োজনের তাগিদে অরণ্য কেটে বসতি স্থাপন করেছিল আরআজ তাদের আগ্রাসী মনোভাবের জন্য করেছে অরণ্য ছেদন। যান্ত্রিক সভ্যতায় কলকারখানার ধোঁয়া, অপরিচ্ছন্ন শহরের ধূলো-বালি, রাস্তার ধারে জ্বালানো কয়লার ঘোষ ইত্যাদি বাতাসকে করছে বিষাক্ত। ফলে আবহাওয়ার তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান, অকালবর্ষণ, ঘূর্ণিঝড় এর মূলে বায়ু দূষণের অভিশাপ। এই দূষিত বায়ু নিশ্বাসকে নিষ্ট করে ফুসফুসকে দ্রুত জীর্ণ করে দেয়, ফলে শ্বাস রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়।
জলদুষণ ও তার প্রতিক্রিয়া :-
জলের আর এক নাম জীবন। জল ছাড়া কোনো জীব বাঁচে না। অথচ সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কলকারখানার সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সেই কলকারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত জল নদীর জলে মিশে নদীর জলকে দূষিত করছে। এছাড়া শহরের সমস্ত নর্দমার জলও নদীতে পড়ে নদীর জলকে দূষিত করছে। ফলে জলবাহিত রোগের সংখ্যা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবাহিত রোগে আজ মানুষ বড় বিপন্ন।
শব্দদুষণ ও তার প্রতিক্রিয়া :-
শব্দ দূষণ আধুনিক সভ্যতার আর এক অভিশাপ। গ্রামেরতুলনায় শহরে এর উপদ্রব বেশি। প্রতিনিয়তই আমরা আছি শব্দের জগতে কিন্তু তা যখন কানের কাছে অসহ্য হয়ে উঠে তখনই তাকে বলে শব্দ দূষণ। বিজ্ঞানীদের মতে ২০ থেকে ৬০ ডেসিবেল শব্দ সহ্য করবার ক্ষমতা থাকে মানুষের কিন্তু তা যখন এরমাত্রা ছাড়ায় তখনই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কলকারখানার উচ্চশব্দ, যন্ত্রচালিত গাড়িরহর্ন, বাজি-পটকার শব্দ মাইক্রোফোনের আওয়াজে মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মানসিক বিপর্যয়, রক্তচাপবৃদ্ধি, স্নায়বিক অস্থিরতা প্রভৃতি নানারকমের সমস্যা সৃষ্টি করছে।
মাটিদূষণ ও তার প্রতিক্রিয়া :-
বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব এসেছে। কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গিয়ে জমিতে নানা প্রকারের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, এর ফলে মাটি দূষিত হচ্ছে। সারা বছর জমিতে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বহু নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর গতিকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে, এতে একদিকে যেমন নদীর জল দূষিত হচ্ছে অপর দিকে মৃত্তিকা দূষণও হচ্ছে। রাসায়নিক সার দ্বারা প্রস্তুত কৃষিজাত সামগ্রী থেকে নানা ধরণের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
ভূত্বকের আবরণ হলো মৃত্তিকা বা মাটি। ভূমিক্ষয়, গাছকাটা, বন উজাড়, অ্যাসিডবৃষ্টি, জমিতে অত্যাধিক রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে মাটির গুনগত মান নষ্ট হয় এবং বায়ুদূষণ ঘটে।
পৃথিবীর অন্যতম উপাদান মাটি উদ্ভিদ জগৎকে প্রতাক্ষ ভাবে এবং প্রাণীজগৎকে পরোক্ষভাবে রক্ষা করে চলেছে। কিন্তু নানধরনের জঞ্জাল, পরিত্যক্তপদার্থ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ঔষধ, তেজস্ক্রিয় পদার্থ মাটি দূষণের জন্য দায়ি।
নিউক্লীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও নিউক্লীয় বিস্ফোরণ থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় পদার্থ মাটিতেদূষণ সৃষ্টি করে। এই মাটির উদ্ভিদ তেজস্ক্রিয় পদার্থ সঞ্চিত হয়। আর এই উদ্ভিদখাদ্য হিসেবে প্রাণীর দেহে গেলে নানা রোগের সৃষ্টি হয়।
গ্রাম দূষণ ও এই দূষণের হাত থেকে ছায়া সুনিবিড় গ্রামাঞ্চলও বাদ যায়নি।
তেজস্ক্রিয় জনিত দূষণ ও তার প্রতিক্রিয়া:
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে তেজস্ক্রিয় দূষণের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের ইলেট্রনিক দ্রব্য, পারমানবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এই ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তার অধিকাংশ বিকরিত হয়, যা আমাদের পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে ও পরিবেশ দূষণ ঘটায়।
দূষিত পরিবেশ ও মানবজীবন:
আদিমকালে মানুষ যখন আগুন জ্বালাতে শেখে তখনই মানুষের দ্বারা দূষণের সূচনা হয়। তারপর মানব সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে বাড়তে থাকলো দূষণ। কলকারখানা, যানবাহনের সাথে জনসংখ্যাবৃদ্ধির কারণে গাছ কাটার হারও বাড়তে লাগলো। শিল্পাঞ্চল ও নগর-নগরী গুলিই হলো পরিবেশ দূষণের মূলকেন্দ্র।
১৯৫২ সালে শিল্পনগরী লন্ডনে ধোঁয়াশার প্রকোপে হৃৎপিণ্ড ও শ্বাস সংক্রান্ত অসুস্থতার কারণে আকস্মিক মৃত্যু হয় প্রায় ৪০০ মানুষের। ১৯৮৪ সালে ভারতের ভোপালে মিথাইল আইসো-সায়ানাইড গ্যাসে হাজার হাজার মানুষের যে মর্মান্তিক জীবনাবসান ঘটে, তা আমাদের সবার জানা। বিজ্ঞানীদের মতে, ইতি মধ্যে দুহাজার কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড জমেছে আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে।
যার ৭৭%, জ্বালানির জন্য এবং বাকি ২৩% অরণ্য উচ্ছেদের ফলে। ১৮৮০ সালের তুলনায় ১৯৮০ সালে একশো বছরপর পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যার অন্যতম প্রধাণ কারণ এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড সহ বিভিন্ন গ্রীন হাউস গ্যাসের আকস্মিক বৃদ্ধি। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত নানানরকমের রাসায়নিক সার, পলিথিন, প্লাস্টিক ও অন্যান্য পরিবেশ দূষণকারী পদার্থ পরিবেশ দূষণের কারণ।
পরিবেশদূষণেরক্ষতিকরপ্রভাব:
বসুন্ধরা আজ সহনশীলতার শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমাদের সচেতনতার অভাবে দূষণের কারণে আমাদের পরিবেশ দিন-দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার মাটি দূষিত করে মাটির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে সাথে ফসলের গুণগত মানও হ্রাস পাচ্ছে।
কলকারখানা থেকে আসা দূষিত জল নদীর জলকে দূষণ করে যার ফলে জলের মাছেদের মৃত্যু হয়। জলজ প্রাণীর মৃত্যু কিন্তু মোটেও নতুন কিছু নয়। প্রায়শই আমরা সংবাদপত্রে দেখতে পাই সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর খবর।
জাতি সংঘের এক প্রতিবেদনে একটি ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরা হয়, যেখানে বলা হয়- প্রতি বছর প্রায় ৮০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সমুদ্রযানের বর্জ্য পদার্থ দিয়ে আক্রান্ত হয়, আর এসবের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই হচ্ছে প্লাস্টিকজাতীয় বর্জ্য।
গাছ কাটার ফলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাব অত্যন্ত ভয়াবহ। বায়ুদূষণের ফলে যে অ্যাসিড বৃষ্টি হয় তা মাটি ও নদী-নালারজলের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং মাটি ও জলে অম্লের পরিমান বৃদ্ধি করছে।
অধিক অম্লত্বের কারণে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে পরিবেশে কার্বণ-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়ছে। পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সাগরে জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাটি, জল ও বায়ুদূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ক্ষতিকর। বায়ূদূষণ মাথা ধরা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার, দীর্ঘিস্থায়ী ব্রংকাইটিস ইত্যাদির মতো শারীরিক সমস্যার কারণ। শব্দদূষণের পরিণাম শ্রবণেন্দ্রিয় অকেজো হয়ে যাওয়া, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া, অনিদ্রা ও নানারকম স্নায়ু রোগের সৃষ্টি করে।
দূষণ প্রতিকারের উপায়:
পরিবেশ দূষণ আজ সারা পৃথিবীর একটি বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। সবরকম দূষণ থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে একমাত্র উদ্ভিদ।
- সবুজ উদ্ভিদ বা গাছ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় গাছ বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে আর বাতাসে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। যে অক্সিজেন প্রাণীজগতের বাঁচার জন্য অপরিহার্য্য। তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
- সর্বোপরি পরিবেশ দুষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধকে জাতীয় আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
- কলকারখানা থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবস্থাগ্রহণ, যথা কলকারখানার বা নর্দমার তরল যাতে নদীর জলে না মেশে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- জল আর বায়ুর ক্রমবর্ধমান দূষণ নিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ভীষণ ভাবে চিন্তিত। বিশাল মানবগোষ্ঠী সহ প্রাণীজগৎ কিভাবে এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে সে উপায় নির্ধারণে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা অবিরাম কাজ করে চলেছে।
- শব্দদূষণ কমানোর জন্য শব্দনিরোধক যন্ত্রের ব্যবহারের উপর জোর দিতে হবে।
- যানবাহনে পেট্রল বা ডিজেল পোড়ানোর পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবহার করতে পারলে দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
- বায়ুদূষণে অন্যতম স্থান অধিকারী বিদ্যুত, কাগজ, সিমেন্ট, ইস্পাত কারখানা সমূহ। দূষণের তারতম্য অনুসারে শিল্পকেন্দ্রগুলিকে শ্রেণীকরণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। তাই বিজ্ঞানীদের নির্দেশে এই সব কারখানাগুলিতে দূষণ নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম বসানোর ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
- প্রযুক্তিবিদ্যার সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে এমন কতকগুলো পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে, যাতে পরমাণু চুল্লির আবর্জনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে নিউক্লিয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশে কোনো তেজস্ক্রিয় থাকবে না।
- কলকারখানা থেকে নির্গত হওয়া দূষিত জল, শহরের মল, আবর্জনা, যাতে নদী কিংবা হ্রদের জলকে দূষণ না করে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার।
- পরিবেশের ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। দূষণ রোধের সহজতম উপায় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষসংরক্ষণ। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ পেতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে বেশি করে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। পরিবেশ দুষণ কমাতে প্রত্যেকটি দেশের আয়তনের ২৫% বনভূমি নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে গাছকাটা নিষিদ্ধ করতে হবে।
- কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। কীটনাশকের পরিবর্তে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবহার করতে হবে।
এককালে মানুষের ধারনা ছিল পরিবেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারলেই মঙ্গল। কিন্তু এখন এই ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে যে আধিপত্য বিস্তার করতে মানুষ বন উজাড় করে, নদীপ্রবাহ বন্ধ করে, পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করে আসলে তারা নিজের জন্যই সমূহ বিপদ ডেকে আনছে।
তাই আর পরিবেশের উপর আধিক্য নয় বরং তারা আজ পরিবেশের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা সার্থক হলেই কেবল পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে পারবো।
পরিবেশ দূষণ রূপ ভয়ঙ্কর মৃত্যুদূতের হাত থেকে পৃথিবী তথা প্রাণী জগৎকে রক্ষা করতে দেরিতে হলেও সচেতনতা শুধু হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিকগণ পরিবেশকে রক্ষা করতে সচেতন হয়ে ওঠেছেন।
পরিবেশ যতই দুষিত হোক না কেন সুষ্ঠু ভাবে বাঁচতে হলেতাকে পরিশোধন করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর জন্য প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক মানসিকতা, শিক্ষা ও সচেতনতার। এই পৃথিবীকে অর্থাৎ আমাদের একমাত্র বাসস্থানকে আমরা যদি নিজেই ধ্বংস করি তা হলে নিজেদেরই মৃত্যু ডেকে আনব আমরা তাই একথা সর্বদা আমাদের মনে রাখতে হবে এই পৃথিবীকে সুন্দর ও সুষ্টু রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
উপসংহার:
পরিবেশ দূষণ একটা গুরুতর সমস্যা। আজ মানব সভ্যতার অস্তিত্ব বিঘ্নিত। এই গভীর সংকটের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে এবং নজর দিতে হবে যাতে পরিবেশের দূষণের মাত্রা না বাড়ে। কারণ বিজ্ঞান যতই উন্নত হোক বা প্রযুক্তি বিজ্ঞান যতই আমাদের উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাক না কেন মানুষের জন্যে সভ্যতা মানুষের হাতেই যদি বিনাশ হয় তাহলে কিলাভ? এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যে আমাদের সবাইকেই হাত মিলিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে হবে।
জীবনধারণের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে ও পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে আমাদের জীবনে নেমে আসবে মৃত্যুর কালো মেঘ। সুস্থ পরিবেশ দেয় সুন্দর জীবনের পরিশ্রুতি তাই প্রকৃতি, পরিবার, বিদ্যালয়, এমনকি সমাজ-সর্বত্রই পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা দরকার।
এ বিশ্বকে “এ শিশুর বাসযোগ্য করে” তুলতে সরকার, সমাজসেবক, কবি, শিল্পীরা নয়, আমাদের সকলেই পরিবেশ রক্ষার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার বদ্ধ হতে হবে। আজ আমাদের জননী বসুন্ধরা ভালো নেই। দূষণের ভারে ক্রমশ জর্জরিত। ক্রমশ এগোচ্ছে কঠিন অসুস্থতার দিকে। তাই রব উঠেছে “বসুন্ধরা বাঁচাও”। এব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করে সতর্ক ব্যবস্থাদি গ্রহণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র সঙ্ঘ প্রতি বছর ৫ই জুন “বিশ্ব পরিবেশ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আমাদের মনে রাখা দরকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আমাদের দেয় নীরোগ স্বাস্থ্য ও অক্ষয় দীর্ঘায়ু। পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকার, সংস্থা বা কোনো ব্যক্তি বিশেষের নয়, এ দায়িত্ব আমাদের সকলের।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যেকোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমরাই আমাদের পরিচ্ছন্ন পরিবেশের রক্ষী। আমাদের সকলের সক্রিয় প্রচেষ্টায় দূষণের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চই সম্ভব।
তাই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কণ্ঠে, কণ্ঠ মিলিয়ে আমাদের অঙ্গিকার হোক-
“যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে সরাবো জঞ্জাল এবিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি …” ।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস :
বিশ্বজুড়েই আজ পরিবেশ সংকট। সেই সংকট দূর করতে বিজ্ঞানীরা গবেষণারত। দূষণের ভয়াবহতা ঘুম কেড়ে নিয়েছে মানবতাবাদী আর চিন্তাশীল মানুষের। চিন্তিত রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাই রাষ্ট্র সংঘ ৫ই জুন কে ঘোষণা করেছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে পালন করতে। যাতে মানুষের এবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
১৯৭২ সাল থেকে প্রতিবছরই ওই দিনটি পালিত হচ্ছে। প্রতিবারেই ওই দিনটি নাড়া দিয়ে যায় বিশ্ব বিবেককে।গ্রহণ করা হয় নতুন শপথ।
Health Section:-
Highlights of This Month (November).......
- November 1-World Vegan Day
- November 1-All Saints’ Day
- November 5(First Thursday)-International Day Against Violence and Bullying at School, including Cyber bullying
- November 5-World Day of Romani Language
- November 5-World tsunami day
- November 7-National Cancer Awareness Day
- November 9-Legal Services Day
- November 10-World Science Day for Peace and Development
- November 14-Children’s Day
- November 14-Diabetes Day
- November 17-National Epilepsy Day
- November 18-International Day of Islamic Art
- November 19(Third Thursday)-World Philosophy Day
- November 21-World Television Day
- November 25-International Day for the Elimination of Violence against Women
- November 26-World Olive Tree Day
“Saga of Our Unsung Heroes”
Upcoming Issue & Theme based Article
January 2021- Water Crisis- Reality
February2021- Rural Health Services
March 2021- Solar Power- The Scope in Rural
Well done..great job, all writings are really nice.
Thank you so much.